ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম প্রকাশ করলেন

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সহ-সভাপতি ও তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ঘনিষ্ঠ সহযোগী হুসেইন আল-শেখের নাম ঘোষণা করেছেন। পিএলও নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ সপ্তাহে রামাল্লায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে সহ-সভাপতির পদ সৃষ্টি হওয়ার পর ৮৯ বছর বয়সী আব্বাস হুসেইন আল-শেখকে ওই পদে নিয়োগ দেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পিএলও-তে সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক চাপে এই পদ চালু করা হয়েছে। আরব ও পশ্চিমা দেশগুলো গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনে আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) বিস্তৃত ভূমিকা বিবেচনা করছে।

পিএলও নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ এএফপিকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পিএলও নেতৃত্বের ডেপুটি হিসেবে হুসেইন আল-শেখকে নিয়োগ দিয়েছেন।’

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, আব্বাসের মৃত্যু বা পদত্যাগের ক্ষেত্রে সহ-সভাপতি পিএলও এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, যাকে প্রায় ১৫০টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে।

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত পিএলও আন্তর্জাতিক চুক্তির আলোচক ও স্বাক্ষরকারী হিসেবে কাজ করে, আর পিএ নির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের শাসনকার্য পরিচালনা করে।

পিএলও একটি ছাতাসংস্থা, যেখানে অনেক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী রয়েছে, তবে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এর অন্তর্ভুক্ত নয়, যারা বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

৬৪ বছর বয়সী হুসেইন আল-শেখ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলনের এক অভিজ্ঞ নেতা এবং পিএর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত।

তিনি ১৯৭০-এর দশকের শেষভাগ এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে ইসরায়েলের কারাগারে এক দশকের বেশি সময় কাটান, যেখানে তিনি হিব্রু ভাষা রপ্ত করেন।

২০২২ সালে তিনি পিএলও নির্বাহী কমিটির মহাসচিব এবং আলোচনাবিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান, যা আব্বাসের প্রতি তার ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত দেয়।

সম্প্রতি আব্বাস তাকে বিদেশে ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক মিশন তদারকির জন্য গঠিত এক কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। মার্চে কায়রোতে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে আব্বাস ঘোষণা দেন, পিএলও-তে সহ-সভাপতির পদ তৈরি করা হবে।

২০০৫ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর থেকে আব্বাস পিএর নেতৃত্বে রয়েছেন। পরের বছর চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও এরপর আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সূত্র: আলজাজিরা