বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ করে ট্রাম্প যা বললেন
বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের উপর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেসব মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বেশী ছিল এবং আমদানি তুলনায় রপ্তানি বেশি করা হয়েছিল, তাদের উপর এ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প এই দেশের তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের তীব্র সমালোচনা করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, চীন ছাড়া এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ সময় ধরে কোন শুল্ক নেয়নি।
এদিন ট্রাম্প বাংলাদেশও উল্লেখ করেন এবং বলেন, “বাংলাদেশ, ৭৪ শতাংশ (শুল্ক), দেখুন কী চলছে।”
এই দেশগুলো মার্কিন পণ্য প্রবেশে যে শুল্ক নিত, ট্রাম্প তাদের থেকে ‘অর্ধেক পরিমাণ শুল্ক’ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ যেহেতু ৭৪ শতাংশ শুল্ক নিত, এখন থেকে সেখানে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা আগে ছিল ১৫ শতাংশের কাছাকাছি।
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৮.৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার, যেটি মূলত তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে। গত বছর এটি ছিল ৭.৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলার। নতুন শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষত তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রাম্পের ঘোষণায় ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ, এবং চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ২০%, ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর ৪৬%, শ্রীলঙ্কার পণ্যে ৪৪%, তাইওয়ানের পণ্যে ৩২%, জাপানের পণ্যে ২৪%, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫%, থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬%, সুইজারল্যান্ডের পণ্যে ৩১%, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২%, মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৪%, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯%, যুক্তরাজ্যের পণ্যে ১০%, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যে ৩০%, ব্রাজিলের পণ্যে ১০%, সিঙ্গাপুরের পণ্যে ১০%, ইসরায়েলের পণ্যে ১৭%, ফিলিপাইনের পণ্যে ১৭%, চিলির পণ্যে ১০%, অস্ট্রেলিয়ার পণ্যে ১০%, তুরস্কের পণ্যে ১০%, কলম্বিয়ার পণ্যে ১০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪%, লাওসের পণ্যে ৪৮%, এবং মাদাগাস্কারের পণ্যে ৪৭% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta