টঙ্গীতে অবস্থিত টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে (টেশিস) হাইটেক পার্কে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টেলিকম ও আইসিটি সচিবরা এই রূপান্তরের কাজে সহায়তা করছেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ১৯৬৩ সালে সিমেন্সের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত টেশিস এক সময় প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে নানা সমস্যার সম্মুখীন। দোয়েল ল্যাপটপ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি। দোয়েল ল্যাপটপের অধিকাংশ অংশ মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত হয়ে দেশে এসেম্বল করা হয়, ফলে প্রকল্পটি সফল হয়নি। এছাড়া, ল্যান্ডফোন তৈরি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বাটন বা ফিচার ফোন উৎপাদনে পৌঁছাতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, গাজীপুরের আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে এমপি রাসেল (আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য) শিল্প এলাকার জমি দখল করে সেখানে স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত জমি অন্য কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় টেশিসের অস্তিত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ওয়াইফাই রাউটার, বুস্টার, চার্জারসহ মোবাইল টেলিফোনের প্রায় সব ধরনের এক্সেসরিজ আমদানি করতে হয়। এমনকি সাধারণ ইউএসবি কেবল, পাওয়ার কেবল, অ্যাডাপ্টার পর্যন্ত বিদেশ থেকে আনা হয়, যার ফলে দেশের কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য টেশিসের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এই মুহূর্তে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, টেশিসকে হাইটেক পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে বর্তমানে একটি কার্যকরী মিড-টেক বা লো-টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চীনের বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান বাংলাদেশে আনার জন্য উৎসাহিত করেছেন। টেশিসের বিদ্যমান অবকাঠামো কীভাবে এই উদ্যোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

এই উদ্যোগ সফল হলে, বাংলাদেশ প্রযুক্তি উৎপাদন খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারবে বলেও মনে করছেন তিনি।