একটি গোষ্ঠী আ.লীগের মতো ইসলামী দলগুলোর ঐক্য কামনা করে না
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, একটি গোষ্ঠী, আওয়ামী লীগের মতো, চায় না ইসলামী দলগুলো একত্রিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করুক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ছিল ইসলামী দলগুলোকে বিরোধী রাজনৈতিক দলে পরিণত করা এবং এজন্য তারা আলেমদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। তবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব এই ফাঁদে পা দেয়নি, এবং যার কারণে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ছিল জামায়াতকে ধ্বংস করা। আওয়ামী লীগ জামায়াতের শীর্ষ ১১ নেতাকে বিচারিক হত্যার শিকার করেছে, তবে পৃথিবীর কোন দেশের সরকার এ হত্যাকাণ্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি।
রোববার রাজধানীতে উলামায়ে কেরামগণের ঐক্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা: সময়ের দাবি শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগের মতো আরেকটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা চায় না ইসলামী দলগুলো একত্রিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ুক। কারণ যদি ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং লুটপাটের সুযোগ কমে যাবে। ইসলামের আলোয় সমাজ আলোকিত হলে, মানুষের তৈরি মতবাদগুলো টিকতে পারবে না। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হবে।”
মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “জামায়াতে ইসলামী কখনো পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জামায়াতে ইসলামী আলেমদের ভিন্নমতকে সম্মান করে। আমরা সবসময় জাতীয় স্বার্থে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছি।” তিনি আরো উল্লেখ করেন, “বর্তমানে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অনেক গভীর এবং ঐক্যও নিকটবর্তী। তবে কিছু গোষ্ঠী, আওয়ামী লীগের মতো, আলেমদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এবং ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
তিনি উলামায়ে কেরামদের নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার আমীর মো. শাহজাহান খান সভাপতিত্ব করেন এবং নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম সভাটি পরিচালনা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মো. কামাল হোসাইন, মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোশারফ হোসেন, তা’মীরুল মিল্লাত মহিলা কামিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা আক্তার হোসাইন, মাওলানা জামাল উদ্দিন আজহারী, মাওলানা নুরুদ্দিন আল আজাদ, মাওলানা আ ন ম হেলাল উদ্দিন, মাওলানা মুফতি আব্দুল কাদির এবং মাওলানা মুফতি আব্দুল কাদির মাহমুদী প্রমুখ।
এছাড়া, যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান, থানা সেক্রেটারী মাওলানা বায়জীদ হাসান, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা . জুনায়েদ, এডভোকেট শফিউল আলম সহ যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta