বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা নতুন স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হলো জাতীয় ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করা।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আঙিনায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) স্পষ্টভাবে জানাতে চায়—আমরা সংস্কারের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দুই বছর আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলাম, যা আজকের প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।”

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য সব রাজনৈতিক দলের একযোগভাবে কাজ করা প্রয়োজন।”

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আজকের পত্রিকাগুলো খুললেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। হত্যা, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, যা দেশকে নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করুন। অতীতের অভিজ্ঞতা দেখাচ্ছে, নির্বাচন যত দেরি হবে, ততই ফ্যাসিস্ট শক্তি শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং জঙ্গিবাদকে উসকে দেবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে আসবেন, তত দ্রুত দেশ পরিচালনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।”

ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন—জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে’র সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ইএইচ