পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে নামাজে দাঁড়ানো কি ঠিক?
কখনও কখনও এমন হয় যে, অজু করে এসে দেখি মসজিদে জামাত শুরু হয়ে গেছে। রাকাত মিস হওয়ার ভয়ে পাঞ্জাবির হাতা কনুইয়ের নিচে না নামিয়েই জামাতে অংশগ্রহণ করি।
এখন প্রশ্ন হল, হাতা গুটিয়ে রাখা অবস্থায় নামাজে কোনো সমস্যা হবে কি? এই অবস্থায় হাতা রেখে নামাজ পড়া কি সঠিক, না হাতা নামিয়ে নেয়া উচিত?
এক্ষেত্রে ইসলামী আইন এবং ফেকাহজ্ঞদের মতামত হলো—
যদি জামার হাতা কনুই পর্যন্ত গুটিয়ে নামাজ পড়া হয়, তবে তা মাকরূহ। তাই নামাজ শুরুর আগে হাতা নামিয়ে নেয়া উচিত। কেউ যদি গুটানো হাতা নিয়ে নামাজ শুরু করে, তবে নামাজের মধ্যে হাতা নামিয়ে নিতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস, হাদিস : ৮১০; আল কাউসার, উমদাতুল কারী ৬/৯১)
যেসব সময় নামাজ পড়া মাকরূহ
কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে, যখন ফরজ, ওয়াজিব কিংবা নফল নামাজ আদায় করা নিষেধ। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। আবার কিছু সময় আছে, যখন নামাজ পড়া অপ্রিয় বা শরিয়তের দৃষ্টিতে অনুচিত। এই লেখায় এমন মাকরুহ সময়গুলো আলোচনা করা হলো—
এক. ফজর উদয় হওয়ার পর অতিরিক্ত দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া মাকরূহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৮৫)
দুই. ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)
তিন. আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া মাকরূহ। (বুখারি, হাদিস : ৫৫১)
চার. ইকামতের সময় নামাজ পড়া মাকরূহ। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬০)
পাঁচ. ঈদের নামাজের আগে ঈদগাহে নামাজ পড়া মাকরূহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৬৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৮৪; আল-মাজমু : ৫/১৭; আলমুগনি : ২/২৭৯)
ছয়. ঈদের নামাজের পরে ঘরেও কোনো নামাজ পড়া উচিত নয়, ঈদগাহেও নয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১২৮৩)
সাত. সময় এত কম হলে যে সুন্নত নামাজ পড়লে ফরজের সময় শেষ হয়ে যাবে, তখন নামাজ পড়া মাকরূহ।
আট. অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং খাবারের প্রতি তীব্র আগ্রহ থাকলে সেই সময় নামাজ পড়া মাকরূহ। এতে মন খাবারের দিকে চলে যায়, নামাজের দিকে নয়। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)
নয়. প্রস্রাব-পায়খানার চাপ নিয়ে নামাজ পড়া মাকরূহ। (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৯)
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta