ইসি কর্মীদের বুধবারের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি বাতিল
এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার বিষয়ে সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর এবং ঐকমত্য কমিশনে মতামত জানানোর পর বুধবারের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করেছে ইসি কর্মীরা।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন।
এনআইডি সেবা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের সরকারের উদ্যোগ এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ‘ন্যাশনাল সিটিজেন ডেটা কমিশন’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংস্থার সুপারিশ রয়েছে। এমন অবস্থায় এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কোথাও নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের অফিসের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পূর্ণ পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে ইসি কর্মীরা, তারা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করার দাবিও করেছেন।
সরকার যদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১৯ মার্চ বুধবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বলেন, “আমাদের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশন তৎপর রয়েছে এবং সরকারের কাছে ও ঐকমত্য কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে এনআইডি ইসির অধীনে থাকা উচিত। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবও আশ্বাস দিয়েছেন। তাই সাধারণ সেবা এবং আশ্বাসের ভিত্তিতে বুধবারের অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।”
ইসি কর্মীদের দাবি পূরণে যদি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়, তবে আগামীতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একত্রে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে তাদের আগের সংলাপগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধুমাত্র এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এনআইডি একটি আলাদা কমিশনের অধীনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta