৫০০ ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ইউক্রেনে তীব্র হামলা।
রাশিয়া ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তীব্র হামলা চালিয়েছে।
রবিবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম, দক্ষিণ ও মধ্য ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় রুশ হামলায় বহু বাড়িঘর ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তাদের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, যার পাইলট নিহত হয়েছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় ইউক্রেন ইতোমধ্যে তিনটি এফ-১৬ বিমান হারিয়েছে বলে জানা গেছে।
আঞ্চলিক গভর্নররা জানিয়েছেন, লাভিভ, পোলতাভা, মাইকোলাইভ, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও চেরকাসি অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক হামলায় রাশিয়া প্রায় ৫০০ ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, “প্রতিরক্ষা বাহিনী এই বড় হামলা প্রতিহত করতে সমস্ত সম্ভাব্য উপায় প্রয়োগ করেছে।”
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এফ-১৬ পাইলট পুরো শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন এবং বিমানটিকে বসতি থেকে দূরে সরিয়ে নেন।
টেলিগ্রামে তারা বলেছে, “পাইলট তার বিমান অস্ত্র দিয়ে সাতটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছেন, কিন্তু শেষ লক্ষ্য ধ্বংসের সময় বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিচে নামতে শুরু করে।”
সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়া ৪৭৭টি ড্রোন ও ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ইউক্রেনীয় বাহিনী ২১১টি ড্রোন ও ৩৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে, আর ২৫৫টির পথ পরিবর্তন করেছে।
দেশের ছয়টি স্থানে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
মধ্য চেরকাসি অঞ্চলের গভর্নর ইহোর তাবুরেটস জানান, রুশ হামলায় এক শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছেন এবং তিনটি বহুতল ভবন ও একটি কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভ ও মধ্য ডনিপ্রোপেট্রোভস্কে শিল্প স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লভিভ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, রাশিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে, যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য দেননি। সূত্র: রয়টার্স
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta