সমুদ্রের অন্তরালে তিমির সামাজিক সম্পর্কের অনন্য উদাহরণ
তিমিরা কিভাবে সমুদ্রের শৈবাল কেল্প ব্যবহার করে একে অপরের যত্ন নিচ্ছে—এমন একটি অদ্ভুত ঘটনা বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছে। এই গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে।
গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের সান হুয়ান দ্বীপের কাছে সালিশ সাগরে এই আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। ড্রোনের মাধ্যমে দেখা গেছে, দুইটি তিমি পরস্পরের পিঠে কেল্প দিয়ে ঘষাঘষি করছে। এই আচরণকে তারা ‘অ্যালোকেল্পিং’ নামে অভিহিত করেছেন। এটি সামুদ্রিক জীবজন্তুদের মধ্যে সরঞ্জাম ব্যবহার করে সামাজিক সম্পর্কের বিরল উদাহরণ।
তিমিরা প্রথমে কেল্পের লম্বা শাখা মুখ দিয়ে কেটে নেয়, তারপর এক তিমি সেটি অন্য তিমির শরীরে রেখে শরীর দিয়ে চাপ দিয়ে ঘষতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়ায় মৃত ত্বকের কোষ দূর হয় এবং সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
গবেষণা দলের সদস্য অধ্যাপক ড্যারেন ক্রফট জানান, এই কাজ শুধু পরিচর্যার জন্য নয়, বরং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিমিরা হাত ব্যবহার করতে না পারলেও তারা শরীরের চলাচল ও চাপ দিয়ে কেল্প ব্যবহার করছে। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, যারা বেশি ‘অ্যালোকেল্পিং’ করছে তাদের শরীরে ত্বক উঠার সমস্যা কম।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই তিমি প্রজাতিটি বিলুপ্তির মুখে। বর্তমানে মাত্র ৭৩টি তিমি বেঁচে আছে। স্যালমন মাছের কমতে থাকা আবাসিক কারণে তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta