রিমান্ড শেষে জেলে পাঠানো হলো সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণামূলক নির্বাচনের অভিযোগে শেরে বাংলানগর থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে হাবিবুল আউয়ালকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মো. শাফিউল আলম, তবে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, ২৬ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
গত ২৩ জুন একই মামলায় কে. এম. নুরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে ২৬ জুন রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করে।
২২ জুন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন খান এই মামলা দায়ের করেন, যেখানে অভিযোগ আনা হয়—আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব না পালন করে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। ২৫ জুন মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত করা হয়।
এ মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ খন্দকার, কে. এম. নুরুল হুদা, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক, মনিরুল ইসলাম, নাম না জানা ডিজিএফআই প্রধান, এনএসআই প্রধান, ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম, হাবিবুল আউয়াল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব, আলমগীর হোসেন, আনিছুর রহমান ও তৎকালীন নির্বাচন সচিব।
এজাহারে বলা হয়, তিনটি নির্বাচনে গায়েবি মামলা, গণগ্রেফতার, গুম, খুন, অপহরণ এবং নির্যাতনের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধান লঙ্ঘন করে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা বিজয় ঘোষণা করে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন অভিযুক্তরা।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta