রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সম্পর্কিত রিভিউয়ের পরবর্তী শুনানি ১৮ মে
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের পরবর্তী রিভিউ শুনানি আগামী ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।
এই বিষয়টি নিয়ে আজ রবিবার শুনানি শেষে, জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।
এদিন আদালতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।
১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে, যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ১১ সেপ্টেম্বর জারি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় তা সংশোধিত হয়। তবে বাংলাদেশের সাবেক জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করলে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় প্রদান করে। এই রায়ে হাইকোর্টের আট দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেগুলোর মধ্যে:
১. সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হওয়ায়, বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা, জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাররা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পর অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বরে অবস্থান করবেন।
এরপর বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে। পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা পক্ষভুক্ত হন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta