খাগড়াছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে大量 সরঞ্জাম ও গুলি উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়ে যৌথবাহিনী ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে।
অস্তানাটি ঘিরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, গুলি, চাঁদার রশিদ, ইউনিফর্ম, নানা ধরনের দলিল-দস্তাবেজ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ইউপিডিএফ এর প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার এই অস্থায়ী গোপন আস্তানা ব্যবহার করছিলেন। অভিযান শুরুর আগেই তারা ঘরের তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর সন্ধানে যৌথবাহিনী অভিযান চালালে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানাটি আবিষ্কৃত হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, যৌথ বাহিনী পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় অভিযান চালিয়ে একটি সাধারণ ঘর দেখতে পান, কিন্তু ঘরের দরজায় তালা বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনীর সন্দেহ হলে তারা পাড়াবাসীর সাহায্যে তালা ভেঙে ঘরটি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
পূর্ণ চন্দ্র পাড়ার কারবারি জানান, ‘এটি ইউপিডিএফের অংগ্য মারমার একটি গোপন আস্তানা ছিল, বাহির থেকে এটি সাধারণ ঘরের মতো মনে হলেও ভিতরে তাদের কার্যক্রম চলছিল।’
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এটি পূর্বে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা যেখানে অপহৃত শিক্ষার্থীরা রাংগামাটির বাঘাইছড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি ফিরে আসার পথে অপহৃত হন।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমা, চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা।
তারা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তাদের সঙ্গে থাকা অটোরিকশা চালকও অপহৃত হয়েছেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta