ফরিদপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা এলাকায় আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঝড়ে গাছপালা, কাঁচা-পাকা বাড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের ফসল নষ্ট হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাত্র ১০ মিনিটের ধ্বংসযজ্ঞে পৌরসদরসহ অন্তত ৮-৯টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উত্তর-দক্ষিণ দিক থেকে প্রবল ঝড় শুরু হয়। এতে পৌরসদরের শ্রীরামপুর, মালিডাঙ্গা, মিঠাপুর, নওয়াপাড়া, হিদাডাঙ্গা, বুড়াইচ, বাকাইলসহ বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
শ্রীরামপুর গ্রামের কাসেম সরদার জানান, “হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের তীব্রতা ও বৃষ্টিতে গাছপালা ও বাড়ি উপড়ে পড়ে। আমার বাড়ি পর্যন্ত ভেঙে গেছে।”
বাকাইল গ্রামের বিভাষ মণ্ডল বলেন, “ঝড়ে আমার কয়েকটি রেইনট্রি গাছ এবং একটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধান ও সবজির ক্ষেতেও ক্ষতি হয়েছে।”
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ বলেন, “আমার ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাড়ি, গাছপালা এবং ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কাসেম সরদার, উজ্জ্বল হোসেন, বাশার শেখ, আতিয়ার রহমান, লাবু মিয়া ও আলমগীর হোসেনসহ অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
আলফাডাঙ্গা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, “গাছপালা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধান ও সবজির সামান্য ক্ষতি হলেও বড় ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়নি।”
আলফাডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফাহিম হোসাইন ইভান বলেন, “কালবৈশাখী ঝড়ে পৌরসদরসহ অন্তত ৭-৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে, তার ছিঁড়ে এবং গাছপালা লাইনের ওপর পড়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে।”
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta