এবার ইরান যে হুমকি দিল প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলোকে
প্রতিবেশী ছয়টি মুসলিম দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান, জানিয়ে দিয়েছে—আমেরিকার যেকোনো হামলায় সহযোগিতা বা নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিলে তা শত্রুতা হিসেবে গণ্য করা হবে। আজ সোমবার এই সতর্কবার্তা জারি করে তেহরান, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়, এমন হলে ইরান উপযুক্ত জবাব দেবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনকে লক্ষ্য করে এই নোটিশ পাঠিয়েছে ইরান। এতে বলা হয়, মার্কিন সামরিক বাহিনী যদি এসব দেশের ভূখণ্ড বা আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তাহলে সে দেশগুলোকেও শত্রুপক্ষ হিসেবে দেখা হবে।
এর আগে আমেরিকা জানায়, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় না এলে সামরিক হামলা হবে। এরপরই ইরানের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এমন হুমকির পর প্রতিবেশীদের জানানো হয়েছে, মার্কিন অভিযানে জড়ালে তারাও সংঘাতের মধ্যে পড়বে।
রয়টার্সকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, যদিও ইরান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, তবুও ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষ যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে, যা বহুদিন ধরেই বৈরী রাষ্ট্রগুলোর মাঝে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পরোক্ষ আলোচনা ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক সমঝোতার ইচ্ছা যাচাইয়ের একটি সুযোগ হতে পারে। যদিও এটি একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া, তবুও মার্কিন সমর্থন থাকলে দ্রুত আলোচনার পথ খুলতে পারে।
গাজা ও লেবাননে সরাসরি যুদ্ধ, ইয়েমেনে সামরিক অভিযান, সিরিয়ায় নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার পাল্টা হামলার পরিস্থিতির মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামরিক হুমকিই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এই জটিল পরিস্থিতি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। একদিকে ইরান এবং অন্যদিকে মার্কিন ঘনিষ্ঠ আরব রাষ্ট্রগুলোর মাঝে অবস্থান করা অঞ্চলটি বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হিসেবে বিবেচিত।
ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং বাহরাইনের সরকার এখনও এই সতর্কতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সতর্কতার কথা জানে না, তবে বিকল্প চ্যানেল দিয়েও হয়তো এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta