দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন, বাইক থেকে পড়ে প্রাণ হারালেন কৃষক দল নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে বাঞ্ছারামপুর পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন (৫৭) নিহত হন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কের দড়িভেলানগর গ্রামের কবরস্থান এলাকায়।

নিহত ব্যক্তি পৌর এলাকার নতুনহাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রীসহ অনেক গুণগ্রাহী রয়েছে। তার পিতা মৃত বারিক মিয়া।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোশারফ হোসেন মোটরসাইকেলে দলের কর্মী বাহার উদ্দিন বাহারকে নিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাহকান্দি গ্রামে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সড়কের দড়িভেলানগর গ্রামের কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান।

এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদ মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মোশারফ হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।

মোশারফ হোসেনের ছেলে মামুন হাসান জানান, তার বাবা দলীয় সাংগঠনিক কাজ শেষে ছয়ফুল্লাকান্দি ও ফরদাবাদ যাওয়ার সময় দড়িভেলানগর গ্রামে দুর্ঘটনায় পড়েন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।

পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালে মুসা জানান, মোশারফ হোসেন একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তিনি অতীতে অনেক নির্যাতন ও মামলা সই করেছেন। দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে হারানো একটি বড় ক্ষতি। তার শূন্যতা পূরণ করা যাবে না। পৌর বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানতেন না। এখন জানলেন এবং পুলিশ পাঠাচ্ছেন বিষয়টি জানার জন্য।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব তার জানাজা বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।