শেরপুরে জোড়গাছা ব্রিজের নিচে বাঙালি নদী: নতুন ‘জাফলং’!
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জোড়গাছা ব্রিজের নিচে বাঙালি নদীর একটি অংশ বর্তমানে পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা এই স্থানকে ‘নতুন জাফলং’ বলে অভিহিত করছে, কারণ এখানে নদীর স্বচ্ছ জল এবং বালুময় তীর সিলেটের বিখ্যাত জাফলংয়ের মতো মনে হচ্ছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ স্থানীয়রা।
নদীটির সাম্প্রতিক সংস্কারের ফলে এবং কিছু অংশে পলি জমে যাওয়ায় স্বচ্ছ পানির প্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে। নদীর তলদেশে বালু এবং ছোট ছোট পাথরের স্তর জমে রয়েছে, যা জাফলংয়ের পানির স্রোতের মতো দেখতে। এর ফলে এখানে ভ্রমণকারীদের আনাগোনা বেড়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ এখানে আসতে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ফরিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে এই নদী দেখছি, তবে প্রায় ২০ বছরে এমন দৃশ্য কখনো দেখিনি। নদীর পানি এখন অনেক বেশি স্বচ্ছ, এবং এই জায়গাটি পিকনিকের জন্য খুবই উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।”
শুধু স্থানীয়রা নয়, আশপাশের অন্যান্য উপজেলা থেকেও দর্শনার্থীরা এখানে আসছেন। কেউ নৌকা ভ্রমণ করছেন, কেউবা নদীর পাড়ে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
সংরক্ষণ ও পর্যটন সম্ভাবনা
স্থানীয় ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিটলার বলেন, “যদি জায়গাটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তাহলে এটি একটি ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পর্যটন সুবিধা বাড়ানো গেলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।”
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “বগুড়ার শেরপুরের এই স্থানটি ‘নতুন জাফলং’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এবং এটি সত্যিই চমৎকার। যারা প্রকৃতির সৌন্দর্য ভালোবাসেন, তাদের জন্য বাঙালি নদীর এই অংশ হতে পারে একটি দারুণ গন্তব্য। তবে এই সৌন্দর্য বজায় রাখতে সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করতে হবে। যদি পর্যটকরা অবৈধভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলেন বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেন, তবে এই সৌন্দর্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
স্থানীয়রা জানান, বিনোদন নিতে এসে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে নদীতে পড়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta