মঙ্গল গ্রহের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দূর থেকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হলেও সেখানে মানুষ পাঠানো একেবারেই সহজ কাজ নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, মঙ্গলের ধূলিকণা নভোচারীদের স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।

এর আগে, চাঁদে অ্যাপোলো অভিযান চলাকালীন নভোচারীরা ধূলিকণার সমস্যার সম্মুখীন হন। ধূলিকণা তাদের মহাকাশ পোশাকের উপর লেগে থাকত এবং লুনার ল্যান্ডারের ভিতরে প্রবাহিত হয়ে যেত। এর ফলে তারা শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালাপোড়া এবং গলা ব্যথায় ভুগছিলেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই ধূলিকণার সংস্পর্শে থাকলে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে। মঙ্গলের ধূলিকণা চাঁদের মতো তীক্ষ্ণ না হলেও এটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম, যা সহজেই অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে লেগে যায়। এর আকার মানুষের চুলের প্রস্থের ৪ শতাংশের সমান, যা সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে এবং রক্তে মিশে যেতে পারে।

গবেষণায় আরো জানা গেছে, মঙ্গলের ধূলিকণায় সিলিকা, জিপসাম এবং বিভিন্ন বিষাক্ত ধাতু রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, মঙ্গল অভিযান চলাকালীন পৃথিবীতে দ্রুত ফিরে আসার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া, পৃথিবী থেকে চিকিৎসা সহায়তা পেতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগবে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে অপ্রতুল। এজন্য নভোচারীদের ধূলিকণার সংস্পর্শ থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, উন্নত বায়ু পরিশোধন ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার হওয়া মহাকাশ পোশাক এবং বৈদ্যুতিক প্রতিরোধী যন্ত্র ব্যবহার করে এই ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল