এনবিআরের চলমান সমস্যার সমাধান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য
এনবিআরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবিলম্বে তাদের দায়িত্বস্থলে ফিরে এসে আইনবিরোধী ও দেশের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে দেশের জনগণ এবং অর্থনীতির নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
এই বিবৃতিটি রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কাজের অন্যতম বাধা হচ্ছে দুর্বল রাজস্ব আদায় ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় রাজস্ব আহরণ খুবই কম, যা মূলত রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকা দুর্বলতা, অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে। এই পরিস্থিতিতে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকার সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করেছে।
সরকার গভীর উদ্বেগ নিয়ে লক্ষ্য করছে, গত দুই মাস ধরে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি ও রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়ায় নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে আন্দোলনের নামে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করেছেন, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, তারা শুধুমাত্র সংস্কারের বিরোধিতা করেনি, বরং অর্থ বছরের শেষ দুই মাসে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়াও মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে। এই পরিকল্পিত ও দুর্বৃত্ত আচরণ জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকার পরিপন্থী। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবিগুলো বিবেচনার স্পষ্ট আশ্বাস এবং আলোচনা করার আহ্বান থাকলেও তারা তা উপেক্ষা করেছেন। আলোচনায় না আসার কারণে তারা আন্দোলনের নামে কঠোর অবস্থান নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।
এই পরিস্থিতিতে, জরুরি আমদানি-রফতানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকার এনবিআরের অধীনে থাকা সকল কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের কর্মচারীদের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta