‘দৈনিক আড়াই হাজার কোটি টাকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে লোকসান’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান বন্ধ অবস্থায় প্রতিদিন আড়াই হাজার কোটি টাকার ক্ষতির খবর দিয়েছে ব্যবসায়ী নেতারা। ক্রয়াদেশ বাতিলের সম্ভাবনাও রয়েছে, যা অনেক রফতানি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারে। এসব ঝুঁকি নিয়ে সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে এনবিআরের এই সংকটের প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা দিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, আইসিসি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সব সংগঠনের পক্ষ থেকে লেখা বক্তব্যে এনবিআর কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে দেশের অর্থনীতিতে পড়া নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরা হয়।
বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, এনবিআরের অচলাবস্থার কারণে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিসিআই’র সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, দেশের আমদানি-রফতানি ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পোর্ট ও বিমানবন্দরে পণ্য আটকে থাকার কারণে সেগুলো বৃষ্টি আর রোদে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে বাধা দূর করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো শর্ত ছাড়াই কথা বলতে অনুরোধ জানান।
এমসিসিআই’র সাবেক সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, কোনো সমস্যা সমাধান টেবিলবন্দি আলোচনা ছাড়া সম্ভব নয়। সেজন্য সবাইকে বসতে হবে, মতামত নিতে হবে এবং কিছু ছাড় দিতে হবে। তবে এনবিআরের সংস্কারের প্রয়োজন অপরিহার্য।
তবে, দাবিগুলোর আলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের বিপক্ষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta