মিডিয়া আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছাড়তে পারছি না

"বাবার চলে যাওয়া এভাবে... আসলে আমরা কেউই এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ঈদের সময় খুলনায় আমরা সবাই একসাথে ছিলাম। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে সবকিছু বদলে গেল। হঠাৎ বাবার মৃত্যুর পর এই পরিস্থিতি পার করে আসার কথা ছিল না। তবে চার মাস আগে আয়োজকদের সাথে কথা বলেছিলাম এবং তারা সেই অনুযায়ী সব কিছু প্রস্তুত করেছিল। তাই প্রোগ্রামে না আসলে নিজেকে খারাপ লাগত।" মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সাথে এমনভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন মডেল, উপস্থাপক এবং আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে ‘Elite Business Award’-এ হোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই জনপ্রিয় তারকা। মালয়েশিয়ায় এটি তার প্রথম সফর।

পিয়া জান্নাতুল জানান, "মিডিয়াতে কাজ এখন কমিয়ে দিয়েছি। কারণ এখন অধিকাংশ সময় আদালত, ব্যবসা এবং পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি, সম্মান এবং ভালোবাসা।"

তিনি জানান, মিডিয়াতে তার পথচলা সহজ ছিল না। অনেক কষ্ট ও সংগ্রামের পর আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। বর্তমানে অনেক পরিবার তাদের মেয়ে মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে, যা তাকে গর্বিত করে।

“আজ আমি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, উদ্যোক্তা এবং এক সন্তানের মা—এই সকল দায়িত্ব পালন করেও মিডিয়ার প্রতি আমার ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ আগের মতোই রয়ে গেছে,” বলেন পিয়া।

পিয়ার মতে, ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তার হাস্যরসের কারণে তাকে ভুলভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, যা তার কাছে দুঃখজনক।

এই প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, “যদি আমি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কাজ করে থাকি এবং সেটাই যদি ভুল হয়, তাহলে আমি সেই ভুলটা গর্বের সাথে স্বীকার করি। আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই, আমি একজন পেশাদার আইনজীবী হিসেবে তার সাথে কাজ করেছি। যদি কারো সঙ্গে কাজ করলেই সেটি রাজনৈতিক হয়, তা ঠিক নয়।"

পিয়া আরও বলেন, “আমি সবার কাছে অনুরোধ করব—কাউকে হয়রানি করা যেন বন্ধ হয়। একজন নাগরিক, মিডিয়া কর্মী এবং আইনজীবী হিসেবে আমি শুধু চাই, হ্যারাসমেন্ট যেন কোনোভাবেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়।”