আজও বন্ধ রয়েছে এনবিআর, ‘পূর্ণ শাটডাউন’ অব্যাহত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয় আজও অবরুদ্ধ রয়েছে। আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বর্তমানে কার্যালয়ে কোনো ব্যক্তি প্রবেশ বা বাহির হতে পারছেন না।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এনবিআর ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকাসহ নেতারা গেটের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন। তারা জানান, গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন কারণ সভাপতি হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদারসহ নেতাদের কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তারা দাবি করেন, এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণ ছাড়া কোনো আলোচনা কার্যকর হবে না। আজ ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য অফিস থেকেও কর্মীরা আসছেন এবং তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
গত ২৬ জুনেও এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে গেট বন্ধ করে কর্মীদের অফিসে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গতকাল অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাই আগামী শনিবার শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। ২৭ জুন অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া প্রেস রিলিজ ঐক্য পরিষদের নজরে এসেছে। ২৬ জুনের সভায় ঐক্য পরিষদকে আমন্ত্রণ না জানানো হয়েছিল, ফলে তাদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। ঐক্য পরিষদ ঘোষণা করেছে ২৮ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সকল দফতরে কমপ্লিট শাটডাউন অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সারাদেশের সব দফতর থেকে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই শাটডাউনের বাইরে থাকবে।
গত ২১ জুন সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়ে ২৩ জুন থেকে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান ও কলম বিরতি কর্মসূচি শুরু করেন। সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করেন, যা নিয়ে তারা গত ২৬ মে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়েছেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta