আরব আমিরাত থেকে ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহ করবে সরকার
সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে, জিটুজি পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই গম আমদানি করতে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এবং তা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হবে।
আজ বুধবার দুপুরে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২৪তম সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থ উপদেষ্টা সভায় বলেন, গমের দাম কমে যাওয়ায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তিনি আরও জানান, দেশে চাল ও গমের রিজার্ভ এখনও সন্তোষজনক, তবে ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহ করা জরুরি যাতে খাদ্য সংকট না হয়।
তিনি আরও বলেন, হরমুজ প্রণালির সংকটের কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের আগের তুলনায় দাম কমে গেছে, এবং রিটেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। তবে মরক্কো ও তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে, যা এড়ানো সম্ভব হয়নি।
সভায় জানানো হয়েছে, বৈঠকে মোট ৭টি প্রস্তাব উত্থাপিত হলে সবগুলোই অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৩টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব ছিল।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেসার্স সিরিয়াল ক্রপস ট্রেডিং এলএলসি থেকে গম ক্রয়ের জন্য ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম পড়বে ২৭৫.০০ মার্কিন ডলার।
এদিকে, গত ২০ মে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে গম আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, গম ক্রয়ের প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক দরপত্রে সময় কমানোর প্রস্তাব করা হয়, যা কমিটি অনুমোদন করেছে।
সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজি পদ্ধতিতে গম আমদানি করা জরুরি বলে জানিয়েছে সরকার।
এছাড়া, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম জিটুজি ভিত্তিতে এবং ৪ লাখ মেট্রিক টন আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করার লক্ষ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বছর ২০২৫-২৬ অর্থবছরে, ৭ লাখ ২৫ হাজার টন গম আন্তর্জাতিক উৎস থেকে এবং ২৫ হাজার টন গম অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta