ব্যয়ের পরিমাণ হবে ১১ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পরিশোধিত জ্বালানি তেল, এলএনজি ও গম আমদানির প্রস্তাব। এর ফলে মোট খরচ হবে ১১ হাজার ৬৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য সরকার-টু-সরকার চুক্তির আওতায় ছয়টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইনোক, চীনের পেট্রোচায়না ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল ও ভারতীয় আইওসিএল এই তেল সরবরাহ করবে। এতে খরচ হবে ১০ হাজার ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এছাড়া, চলতি জুন মাসের জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন (গ্যাসোলিন ৯৫) আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জেপিন (বিএসপি) এই অকটেন সরবরাহ করবে। প্রতি ব্যারেলের রেফারেন্স প্রাইস ৭৩.৬১ ডলার এবং ব্যারেল প্রতি প্রিমিয়াম ৫.৯৩ ডলার, যার মাধ্যমে খরচ হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
বৈঠকে আরও একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়, যাতে চলতি পঞ্জিকা বছরের ৩২তম এলএনজি কার্গো স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুরের ‘ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’ সরবরাহ করবে। এর জন্য ব্যয় হবে ৫৬৯ কোটি ২৯ হাজার টাকা।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ২৭৫ ডলার দরে, এর খরচ হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়া, বিএডিসির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে তিনটি দেশ থেকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানি হবে। এর মধ্যে রয়েছে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং তিউনিশিয়ার জিসিটি থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার। মোট ব্যয় হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার, ৩৪৬ কোটি ৪৮ লাখ এবং ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta