হজ পালনে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

২০২৬ সালের হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে ৩৬ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুন গাজীপুরের গাছার মো. আফজাল হোসাইন (৬৮) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃতদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী রয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু মক্কায়, ১১ জন মদিনায়, একজন আরাফায় এবং একজন জেদ্দায় হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের শুক্রবার (২০ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ২৭০ এবং বর্তমানে ২৫ জন ভর্তিকৃত আছেন।

পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রথম মৃত্যু ঘটে ২৯ এপ্রিল রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০) এর।

এরপর ২ মে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), ৫ মে পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু (৫৮), ৭ মে ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবির (৬০), ৯ মে জামালপুরের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), ১০ মে নীলফামারীর বয়েজ উদ্দিন (৭২), ১৪ মে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান (৭২) ও ১৭ মে গাজীপুরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১) মারা যান।

১৯ মে চাঁদপুরের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩), ২৪ মে রংপুরের মো. সাহেব উদ্দিন (৬৯), ২৫ মে চাঁদপুরের বশির হোসাইন (৭৪), ২৭ মে চাঁদপুরের শাহাদাত হোসেন, ২৯ মে জয়পুরহাটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫৩), একই দিনে মাদারীপুরের মোজলেম হাওলাদার (৬৩), গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ (৬২) এবং ৩১ মে নওগাঁর মো. আবুল হোসেন (৭৩) মৃত্যুবরণ করেন।

১ জুন গাজীপুরের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান (৬০) ও নীলফামারীর মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৯), ৫ জুন ঢাকার মনোয়ারা বেগম মুনিয়া (৫৩), ৬ জুন খুলনার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম (৬২), ৭ জুন নোয়াখালীর মো. মুজিব উল্যা (৬৮), ৯ জুন গাইবান্ধার এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল (৬৪) ও ১০ জুন সিরাজগঞ্জের গোলাম মোস্তফা (৫৮) মারা যান।

১২ জুন নোয়াখালীর আব্দুর রশিদ (৬৮), লালমনিরহাটের আমির হামজা (৬০), ঢাকার এ এস এম হায়দারুজ্জামান (৬০), ময়মনসিংহের মো. মনিরুজ্জামান (৬৬), নোয়াখালীর খাতিজা বেগম (৪১) এবং ১৪ জুন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের রোকেয়া বেগম (৬২), যশোরের মনজুয়ারা বেগম (৫৯) মারা যান। ১৬ জুন ঢাকার মো. মোজাহিদ আলী প্রাং (৫১) ও কুমিল্লার বেগম সামছুন্নাহার (৭৬), ১৭ জুন ঢাকার মোছা. নাজমা রানা (৪২) এবং ১৮ জুন সিলেটের আফিয়া খাতুন (৬৩) ও ঢাকার মনোয়ারা ছিদ্দিকা (৫৮) মারা গেছেন।

সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী, হজ করার সময় কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তার দেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয় এবং দেশে নেওয়া হয় না। পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়।