সংস্কার এবং ফ্যাসিবাদীদের স্পষ্ট বিচার ছাড়া কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, দেশের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং মানবতাবিরোধী ফ্যাসিস্টদের প্রকাশ্য বিচার ছাড়া নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। তিনি আজ ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আকবরশাহ থানা আয়োজিত এক সহযোগী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে এবং ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছে। গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ কখনোই এ দেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকারী নয়। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা এখন দেশের সকল মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এজন্য আজ মানুষ জামায়াতে ইসলামীর পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জোট সরকারের সময় জামায়াতে ইসলামী দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আলী আহসান মুজাহিদ কোনো দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না, এমনকি এক টাকার দুর্নীতি খুঁজে পাওয়ারও সুযোগ হয়নি। সুতরাং, একমাত্র জামায়াতে ইসলামী দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সক্ষম।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব শাহাজান চৌধুরী।

শাহাজান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে খুনি হাসিনা ও ভারত সরাসরি জড়িত, তারা ভারতে বসে দেশ বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হল নিরপেক্ষ নির্বাচন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং নিরপেক্ষ প্রশাসন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলার জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। জামায়াতে ইসলামী একদল সোনালী মানুষ তৈরি করেছে এবং সেই সোনালী মানুষ দিয়ে জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম।

আকবরশাহ থানা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড-৪ আসনের জামায়াত ঘোষিত এমপি প্রার্থী আলহাজ্ব আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, আল আমীন হাসপাতালের এমডি ইউসুফ চৌধুরী, শ্রমিক নেতা মো. আলতাফ হোসেন এবং ছাত্র নেতা সাইদুর রহমান।

সম্মেলন সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন থানা সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করিম এবং থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কাজী আফসার উদ্দিন শাহীন।