আলমডাঙ্গায় কাপড় চুরির সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে ভারত জানিয়েছে, নেপাল ও ভুটান ছাড়া অন্য দেশগুলোকে ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
তাতে ঠিক হয়েছিল, ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশের সাথে পণ্য পরিবহণ করতে পারবে। অর্থাৎ, ভারতীয় বন্দর বাংলাদেশ বাণিজ্যের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। তবে, গত সপ্তাহে ভারত সেই চুক্তি বাতিল করে এবং ঘোষণা করে যে, শুধুমাত্র নেপাল ও ভুটান বাণিজ্যের জন্য ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
ভারত কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, `ভারতের বন্দরগুলিতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং পণ্য পরিবহণে দীর্ঘ সময় লাগছে ব্যবসায়ীদের। এই সমস্যার সমাধানে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।` রণধীর জানান, এ সিদ্ধান্তের পরও নেপাল এবং ভুটান সঙ্গে বাণিজ্য চালানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠকে বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সাথে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, রণধীরের এই মন্তব্য অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। এমনকি ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের নোটিসেও একই কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন, যেখানে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে, রণধীর আরও বলেন, `আমাদের ঘোষণার আগে বাংলাদেশে কী ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করা দরকার।`
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই পদক্ষেপের আগে বাংলাদেশ তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করেছে এবং ভারত থেকে সুতো আমদানির সিদ্ধান্তও বন্ধ করেছে। অন্যদিকে, ড. ইউনূস চীনে উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা ভারত পছন্দ করেনি।
ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, `ভারতের এই পদক্ষেপ একেবারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুই দেশের মধ্যে চলমান অস্থিরতা থেকে এই সিদ্ধান্ত এসেছে।`
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, `ভারতের এই পদক্ষেপ জাতীয় স্বার্থ রক্ষার একটি উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিষয়ে কোনো আপস করবেন না এবং এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।`
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্সের উত্তর-পূর্ব ভারতের সাধারণ সম্পাদক অমরেশ রায় ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, `বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, আমরা তা সমর্থন করি না। তাই ভারতের অবস্থানকে আমরা সমর্থন জানাই।`
মার্চ মাসে বাংলাদেশ ভারতের সুতো রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই পদক্ষেপ ভারতের সুতো ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। -সুত্র: ডিডব্লিউ
আরএস
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta