বিনার মহাপরিচালকের দপ্তরের তালা খুলে কার্যক্রম পুনরায় শুরু
গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চার দিন পর শুক্রবার সকালে তার দপ্তরে প্রবেশ করেন।
বিনা কর্মকর্তাগণ, কর্মচারী, বিজ্ঞানী ও পরিচালকরা তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে অফিস কার্যক্রম পুনরায় চালু করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মহাপরিচালকের দপ্তরের তালা বন্ধ করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) ড. মো. শরিফুল হক ভূইয়া, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. হোসেন আলী, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আজিজুল হক, ড. মো. লুৎফর রহমান মোল্যা, ড. মো. ইব্রাহীম খলিল, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, ড. মো. আশিকুর রহমান, ড. মো. হাসানুজ্জামান, ড. মো. হাবিবুর রহমান, খন্দকার শামছুল আরেফিন, উপপরিচালক (প্রশাসন) মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক (অর্থ) মো. মনজুরুল হোসেন খান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানসহ আরও অনেকে।
এছাড়া বিনা কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আলতাব মাসউদ, সাবেক শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. নবী হোসেন ও মো. আনোয়ার হোসেনসহ বিনার প্রধান কার্যালয় ও উপকেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা এতে অংশ নেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, মহাপরিচালকের দক্ষ নেতৃত্ব এবং বিনার গবেষণা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। তিনি আরও দাবি করেন, কিছু বহিরাগত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, যা বিনার বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিনা সংশ্লিষ্টরা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কোনো বহিরাগত ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ বা বলপ্রয়োগ সহ্য করা হবে না এবং প্রয়োজনে তা প্রতিহত করা হবে। এখন থেকে বিনার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।
ইএইচ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta