‘স্বৈরাচারের সহযোগীদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা সংবিধানকে নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করেছেন। সারা বিশ্ব দেখেছে যে পলাতক স্বৈরাচার ক্ষমতায় আসতে বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে সামান্য বিষয়কে প্রধান ইস্যু বানিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের সহযোগীদের পুনর্বাসন করা হয়। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন মানে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থকদের সুযোগ দেওয়া এবং তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি করা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মাফিয়ার পতনের পর সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলেছে। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে পেশাজীবীদের মেধা কাজে লাগানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংস্কার ও নির্বাচনকে একে অপরের বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংস্কার কখনো শেষ হয় না, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। জনগণের গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সংস্কার আরও টেকসই এবং কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রে সিভিল সোসাইটি ও পেশাজীবীরা শক্তিশালী না হলে দেশ ভালোভাবে চলতে পারে না, এমন মন্তব্যও করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, বিএনপি সংবিধানে দ্ব chambersবিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাব দিয়েছে, যা ২০১৬ সালে বেগম জিয়া উত্থাপন করেছিলেন। যারা সংস্কারের পর নির্বাচনের কথা বলেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যা শেষ হয়ে যায় তা সংস্কার নয়, বরং যা চলমান থাকে সেটাই সংস্কার।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta