ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি আক্রমণে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এই বর্বর হামলার কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসব ঘটনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ট্রাম্পের “পূর্ণ সমর্থন” রয়েছে। একইসঙ্গে গাজায় চলমান এই গণহত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২১ মার্চ) টিআরটি ওয়ার্ল্ড এই বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে “পূর্ণ সমর্থন” জানিয়েছেন। তিনি হামাসকে ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য দায়ী করেছেন।

ট্রাম্প কি গাজায় যুদ্ধবিরতি ফেরানোর চেষ্টা করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে লিভিট বলেন, “তিনি ইসরায়েল এবং তাদের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এর পদক্ষেপগুলোকে পুরোপুরি সমর্থন করেন।”

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েল একতরফাভাবে তা লঙ্ঘন করে, আর গত মঙ্গলবার থেকে সেখানে প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ২০০ শিশুও রয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ১০৪২ জন।

এছাড়া, বৃহস্পতিবার গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে অন্তত ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। তবে, লিভিট ফিলিস্তিনের এই রক্তপাতের জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবে হামাসকে বলেছেন— যদি তারা সব জিম্মিকে মুক্তি না দেয়, তবে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে এবং দুর্ভাগ্যবশত, হামাস গণমাধ্যমে জীবন নিয়ে খেলা করার পছন্দ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে “সম্পূর্ণ দোষ হামাসের”। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান যে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দি “সব জিম্মি” মুক্তি পায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উত্তরাঞ্চলের জরুরি পরিষেবার প্রধান ফারেস আওয়াদ বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি সম্পর্কে বলেন, “বেইত লাহিয়ায় এটি ছিল এক রক্তাক্ত রাত। উদ্ধারকারীরা এখনও ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।”

আরএস