ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে পলাতক অধ্যক্ষ, জেলা প্রশাসক বরাবর বিচার চেয়ে অভিযোগ
লালমনিরহাটের একটি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল আলম এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত রবিউল আলম লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ওই ছাত্রীর বাবা, যিনি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, ফরম পূরণের জন্য কিছু টাকা কমানোর অনুরোধ করেছিলেন, এবং এর পর অধ্যক্ষ রবিউল আলম তাকে মোবাইল নম্বর দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। পরে ৯ মার্চ, ইফতার ও নামাজের পর ওই ছাত্রীর ফোনে রবিউল আলমের সাথে যোগাযোগ হয় এবং অধ্যক্ষ তাকে রাতে দেখা করতে বলেন। ছাত্রীর প্রতিবাদে, অধ্যক্ষ বলেন, "এখন তোমার দেখা করা উচিত, কারণ আমি রোজা রাখি না।" এ কথা শুনে মেয়েটি ফোন কেটে দেন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে আসা দিনমজুর বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, 'আমি তিস্তা নদীর ভাঙনের শিকার একজন খেটে খাওয়া মানুষ, তাই কিছু টাকা কমানোর জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সে এই সুযোগে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে।' তিনি বলেন, তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন এবং আশা করছেন তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মতে, যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে তিনি তার সহপাঠীদের নিয়ে আন্দোলন করবেন।
এদিকে, অভিযুক্ত অধ্যক্ষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তাকে বাড়ি বা অফিসে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেছেন, "লালমনিরহাট পুলিশ সুপারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta