চলনবিলে খিরার উৎপাদন বৃদ্ধি, লাভের প্রত্যাশা কৃষকদের
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ১৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের খিরা এবং শসা চাষ করা হয়েছে। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়া, সুলভ মূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক পাওয়ার কারণে খিরার ফলন ভালো হয়েছে। চলনবিলের খিরার চাহিদা বাড়ায় এসব খিরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। দিঘরিয়ায় চলনবিলের সবচেয়ে বড় খিরার বাজার বসে, যেখানে প্রতিদিন ১ লক্ষ মেট্রিক টন খিরা বিক্রি হয়। খিরা চাষ করে ভাগ্য বদলের আশায় কৃষকরা।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলের সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খিরার আবাদ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিয়াশ, আয়াশ, ঠেংগাপাকুরিয়া, ডাহিয়া, সরিষাবাড়ী, গাড়া বাড়ি, পারিল, বড়গ্রাম, আজিমপুর, ক্ষীরপোতা, পিপুলসোন এবং খরসতি গ্রামে খিরার বিশাল আবাদ হয়েছে। প্রায় ১৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি মণ খিরা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা আশা করছেন, দাম আরও বাড়বে।
উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, এ বছর ১ বিঘা জমিতে খিরা চাষ করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
কৃষক জসিম আলী ও নাসির উদ্দীনসহ একাধিক কৃষক জানান, তারা খিরা চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমি ২০ হাজার টাকায় লিজ নিয়েছেন, কারণ এই চাষে তারা লাভবান হচ্ছেন। যাদের নিজস্ব জমি রয়েছে, তারা আরও বেশি লাভ করছেন।
সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ জানান, চলনবিলে খিরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। তারা প্রতি বিঘা জমিতে খরচ বাদে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ করছেন। এভাবে আগামীতে আরও কৃষক খিরা চাষে আগ্রহী হবেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে থাকে।
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta