আফগানিস্তানে অর্থের বিনিময়ে সাত বছরের শিশুকে বিয়ে, তালেবান সরকার হস্তক্ষেপ করেছে
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে মাত্র সাত বছর বয়সী এক শিশুকে অর্থের বিনিময়ে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তালেবান সরকারের ‘সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ’ মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ পেয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।
তালেবান সরকারের ওই মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম খাইবার জানান, শিশুটির বাবা টাকা নিয়ে তাকে ওই ব্যক্তির কাছে বিয়ে দিয়েছিলেন। নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও শিশুটিকে বরকে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছিল। ঘটনার তদন্ত শেষে মেয়ের বাবা ও বরকে আটক করে শরিয়াহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আফগান সংবাদ মাধ্যম Pajhwok Afghan News-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, শিশুটির বিয়ে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান প্রশাসন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক কুসংস্কারের কারণে এখনও নাবালিকাদের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। তবে তালেবান প্রশাসন দাবি করছে, তারা শরিয়াহ আইনের আওতায় এই ধরনের বিবাহ বন্ধ করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
এই ঘটনা প্রকাশের পর দেশে শিশু অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ এই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এটি আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
তালেবান সরকারের বিধান অনুযায়ী, শরিয়াহ আইনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৫ বছর নির্ধারিত হলেও বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হয় না। তাই বাল্যবিবাহ রোধে আন্তর্জাতিক চাপ এবং অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টা আরও বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta