আলমডাঙ্গায় বেনাপোল এক্সপ্রেসের থামার খবর, এলাকায় উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে অবশেষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য।
যশোরের বেনাপোল থেকে ঢাকা গামী ৭৯৫/৭৯৬ নম্বর ট্রেনটি আগামী ৩ জুলাই থেকে নিয়মিতভাবে উভয় দিক থেকে প্রতিটি যাত্রায় দুই মিনিটের জন্য আলমডাঙ্গা স্টেশনে থামবে।
গত বুধবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল নোটিশ স্টেশনে পৌঁছার পর এই খবরে এলাকাবাসী আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন।
রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) বরাবর প্রেরিত চিঠিতে এই যাত্রাবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীসুবিধা বিবেচনায় এনে সপ্তাহে ছয় দিন (বুধবার ব্যতীত) ট্রেনটি আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে থামবে। আপ ট্রেন দুপুর ৩টা ৩৯ মিনিটে এসে ৩টা ৪১ মিনিটে এবং ডাউন ট্রেন রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে এসে ৩টা ৩৬ মিনিটে ছেড়ে যাবে।
আলমডাঙ্গা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুল করিম চঞ্চল জানান, এটি দীর্ঘদিনের আলমডাঙ্গাবাসীর স্বপ্ন ছিল, যা অবশেষে পূরণ হলো। এটি শুধু একটি স্টেশনের নয়, পুরো অঞ্চলের সম্মিলিত চেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বেনাপোল-ঢাকা রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আগে কেবল কুষ্টিয়ার পোড়াদহ বা চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে থামত, ফলে আলমডাঙ্গার যাত্রীদের অনেক দূরের স্টেশনে যেতে হত যা সময় ও অর্থের অপচয় ছিল এবং নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
আলমডাঙ্গার পাশাপাশি কুষ্টিয়ার মিরপুর, মেহেরপুর গাংনী ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর যাত্রীরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানান তিনি।
প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, “এই পদক্ষেপ শুধু আলমডাঙ্গার জন্য নয়, আশপাশের লাখো মানুষের যাতায়াত সহজ করবে এবং রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।”
এনসিপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান আমার সংবাদকে জানান, ৩ জুলাই থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আলমডাঙ্গায় থামবে, যা একটি বড় অর্জন। ভবিষ্যতে উন্নয়নের জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বেনাপোল এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে আলমডাঙ্গায় নানা সময় মানববন্ধন, রেল অবরোধ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। নাগরিক কমিটি, বণিক সমিতি, গার্মেন্ট ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংগঠন এ কাজে সক্রিয় ছিলেন। ৩ জুলাইয়ের প্রথম যাত্রাবিরতির দিন আলমডাঙ্গা স্টেশনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ট্রেনকে বরণ করার প্রস্তুতি চলছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta