যশোরের অভয়নগরে ঈদমেলায় ফুচকা খাওয়ার পর আরও ১১৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ পর্যন্ত বুধবার (২ এপ্রিল) রাতের মধ্যে মোট ২১৩ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটার পর থেকে ফুচকার দোকানি মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের দক্ষিণ দেয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ঈদের উপলক্ষে চার দিনব্যাপী মেলা চলছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান বসেছে। যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া এলাকা থেকে মনির হোসেন নামক একজন ফুচকার দোকান বসান। ঈদের দিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহু মানুষ সেই দোকান থেকে ফুচকা খান। কিছুক্ষণ পরই অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, খিঁচুনি ও জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়।

বুইকরা গ্রামের মহিনুর ইসলাম জানান, ঈদমেলায় রাতে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওই দোকান থেকে ফুচকা খান। পরে রাতে বাড়ি ফিরে তাদের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরদিন হাসপাতালে ভর্তি হন।

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজীব জানান, আজ দুপুর পর্যন্ত ২১৩ জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ জনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তবে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ১৪৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, ফুচকার বিষক্রিয়ার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এবং বেশিরভাগ রোগী পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, খিঁচুনি ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তবে মামলা করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ফুচকা বিক্রেতা মনির হোসেনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।