মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শুক্রবার মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) কার্যকরভাবে বন্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণা বিদেশি সাহায্য ব্যয়ের নাটকীয়ভাবে কমানোর প্রস্তাবের জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতর এবং ইউএসএআইডি কংগ্রেসকে তাদের পুনর্গঠন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছে। তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই ২০২৫ সালের মধ্যে ইউএসএআইডি’র কিছু পুনর্গঠন করা হবে।

তিনি আরও জানান, পররাষ্ট্র দফতর প্রশাসনের অগ্রাধিকারগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন ইউএসএআইডি’র অবশিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। দুর্ভাগ্যবশত, ইউএসএআইডি তার মূল লক্ষ্য থেকে অনেক আগেই সরে গেছে, যার ফলে খুব কম লাভ হয়েছে এবং খরচও বেড়ে গেছে।

জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। এরপর ইউএসএআইডি কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁট করা হয়, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তার জন্য ছাড় দেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্ত ১৯৬১ সালে মার্কিন কংগ্রেসের একটি আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন সংস্থাটির জন্য হতাশাজনক ও বিস্ময়কর ছিল।

সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাটরা এই পদক্ষেপের নিন্দা করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুনর্গঠনের ফলে ইউএসএআইডি’র যে কোনও কার্যক্রম বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে এবং এটি পররাষ্ট্র দফতরের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

তারা আরও বলেন, এই প্রস্তাবটি অবৈধ, বিপজ্জনক এবং অগ্রহণযোগ্য।

ইউএসএআইডি বন্ধ হওয়ার আগে, সংস্থাটি প্রতি বছর প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের বাজেট পরিচালনা করত, যা বিশ্বের মানবিক সহায়তার ৪০ শতাংশেরও বেশি ছিল। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই এর বেশিরভাগ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার এক স্মারকলিপিতে ইউএসএআইডি কর্মীদের জানানো হয়েছে যে, আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক নয় এমন সমস্ত চাকরি বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

স্মারকলিপিতে, সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান জেরেমি লুইন বলেন- পররাষ্ট্র দফতর আগামী মাসগুলোতে ইউএসএআইডি’র বেশিরভাগ স্বাধীন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে। সূত্র: সিবিএস নিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, আল-জাজিরা