রোজা রেখে স্পেনের হয়ে খেলবেন লামিনে ইয়ামাল
রমজান মাস মুসলিমদের জন্য এক বিশেষ বরকতময় সময়। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সিয়াম সাধনায় লিপ্ত থাকেন। অনেক খেলোয়াড়ও রোজা রেখে মাঠে নামেন। খেলা চলাকালে একটু বিরতি নিয়ে ইফতার করে তারা রোজা ভাঙেন। স্পেনের তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামালও তাদেরই একজন।
সম্প্রতি বেনফিকার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা চলাকালীন রোজা রাখেন ইয়ামাল। ওই ম্যাচে বার্সেলোনার এই উদীয়মান তারকা দলের জয়ে একটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেন। ম্যাচের মাঝে ইফতারও করেছেন তিনি। এবার প্রথমবারের মতো রোজা রেখে তিনি স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামবেন।
স্পেন আগামী বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের মাঠে উয়েফা নেশনস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে খেলবে। রোববার ফিরতি লেগ অনুষ্ঠিত হবে। এ ম্যাচে স্পেনের প্রথম ফুটবলার হিসেবে রোজা রেখে খেলবেন ইয়ামাল। পরশু, স্পেন জাতীয় দলে যোগ দিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনও করেছেন ১৭ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
গত বছর ইয়ামাল স্পেনের হয়ে দুটি ম্যাচ খেললেও তখন তিনি রোজা রাখেননি। তবে এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রোজা রেখে খেলা সম্ভব। স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইয়ামাল পৈতৃক পরিবারের সম্মানে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বাবা মুনির নাসরাউয়ি একজন মরোক্কান মুসলিম, যদিও ইয়ামাল স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন।
স্পেন জাতীয় দলে ইয়ামালই প্রথম মুসলিম ফুটবলার নয়। আদামা ত্রাওরে, আনসু ফাতি, মুনির এল হাদ্দাদি আরও মুসলিম খেলোয়াড়। তবে ত্রাওরে ও ফাতি রমজান মাসে কোনো ম্যাচ খেলেননি। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয়েছিল মুনিরের, তবে সেই সময় রমজান ছিল না।
স্পেনে মুসলিম জনগণের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। রমজানে, অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মতো, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। মুসলিমদের এই পবিত্র মাসের শুরুতেই স্পেনসহ ইউরোপের অনেক বড় ক্লাব রোজা রাখার বিষয়টি সমর্থন জানায়। ইয়ামালের মতো খেলোয়াড়দের জন্য ইফতারের জন্য মাঠে বিরতি রাখা হয়, যদিও নেশন্স লিগে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
ডিএজেএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছেন, রোজা রেখে খেলার মধ্যে তার কোনো অসুবিধা হয় না। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও মনে করি না যে আমি ক্ষুধার্ত। শরীরকে সঠিকভাবে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবে আমি এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকি। (ফজরের) নামাজ পড়ার জন্য আমি ভোরে উঠি। তারপর ইলেকট্রোলাইট জাতীয় পানীয় পান করি, যা সারাদিন শরীরকে পানিপূর্ণ রাখে। ইফতার সময় হলে, আমি চিনি না খেয়ে প্রচুর পানি পান করি, তাই সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকে।’
শাকিল/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta