কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেল টিকিট ব্যবস্থা শুরু
কর্তৃপক্ষের দেওয়া আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন মেট্রোরেল কর্মীরা। এরপর পুনরায় টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চালু করা হয়।
আজ (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
এর আগে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর চার কর্মী এমআরটি পুলিশ সদস্যদের দ্বারা মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়। এই কারণে মেট্রোরেল চলাচলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়, বিশেষত যাত্রীদের ভাড়া সংগ্রহের ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ ছিল এবং যাত্রীরা টিকিট কিনতে পারেননি। ফলে এমআরটি ও র্যাপিড পাসধারীরা যাতায়াত করলেও অন্যান্য যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।
গতকাল রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন ডিএমটিসিএল-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬ মার্চ বিকাল সোয়া ৫টায় ডিএমটিসিএলের চারজন কর্মী এমআরটি পুলিশের হাতে মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ওইদিন দুপুর ৫টা ১৫ মিনিটে দু’জন মহিলা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে সিভিল ড্রেসে ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রা করেন এবং পেইড জোন থেকে বের হওয়ার জন্য সুইং গেট ব্যবহার করতে চান। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরএ তাদের তা করতে নিষেধ করেন।
এসময় পুলিশ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে একইভাবে দু’জন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে বের হয়ে যান এবং তাদের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে তারা আগের ঘটনার জেরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে সিআরএদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং এক কর্মীকে কাঁধে বন্দুক দিয়ে আঘাত করে, অপরজনকে মারধর করা হয় এবং বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়।
যাত্রী ও স্টেশন কর্মীরা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে টিএমওকে এমআরটি পুলিশ সদস্যদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। এই ধরনের ঘটনা মেট্রোরেল কর্মপরিবেশের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আহত সিআরএকে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং টিএমওও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ডিএমটিসিএল কর্মীরা ৬টি দাবি তুলে ধরেছেন:
১. ঘটনার মূল হোতা পুলিশ সদস্য এসআই মাসুদকে দ্রুত বরখাস্ত করতে হবে এবং সকল পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দিতে হবে।
২. মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে হবে।
৩. এমআরটি পুলিশকে বাতিল করতে হবে।
৪. স্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ, টিএমও এবং অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
৬. আহত কর্মীর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta