রাজধানীতে পুলিশের সতর্ক অবস্থান, কারণ জানানো হলো
রাজধানী ঢাকার পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শনিবার সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় 'মুক্তি ভবন'-এর সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সেই সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সময়ে দলটির কিছু নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়, আবার কিছু নেতাকর্মী কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে আটটি সংগঠন গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে সিপিবি নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য সিপিবি কার্যালয়কে 'ছাত্র-জনতার কার্যালয়' হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থান নেওয়ার জন্য শনিবার সকাল থেকেই সিপিবি কার্যালয়ের চারপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় সিপিবির নেতারা তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তারা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, 'মাগুরার শিশুটির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং সমাজে পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা শোক দিবস পালন করছি। সারা দেশে কালো পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেলে শোক মিছিল বের করা হবে।'
গণমিছিলের আয়োজন করা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ উদিচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)।
তবে শুক্রবার রাতে উদীচীর একটি অংশ, ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাসদ সমর্থিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা এই কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত নয়।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta