ওসি প্রত্যাহারের সংবাদে থানায় পাওনাদারদের উপচেপড়া ভিড়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নানা অভিযোগের কারণে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসির বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল।
হঠাৎ করে তাকে প্রত্যাহার করা হলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে, ওসি চলে যাওয়ার খবর শোনার পর কমপক্ষে ৩০ জন পাওনাদার বিচ্ছিন্নভাবে থানায় এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তবে ওসিকে পাননি।
এছাড়া, একটি ঘটনার পরেই পাঁচটি অভিযোগে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে ওই ওসির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন ফরিদ আহম্মেদ। এরপর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তার কর্মকাণ্ড চলছিল। সম্প্রতি চুরি ও ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতির দিকে চলে যায়। বিশেষ করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালানো হচ্ছিল।
তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না, যা তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যোগ করে।
অন্যদিকে, মামলা গ্রহণের নামে বিচারপ্রার্থীদের নিয়মিতভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। চিঠি পাওয়ার পর ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে শুক্রবার সকালে জেলা শহর ময়মনসিংহে চলে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘ওসির কাছে সাধারণ মানুষ টাকা পেত, এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও জানান, ওসির সঙ্গে কথা বলবেন।
এক রাতে পাঁচটি মামলা রেকর্ডভুক্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো দুটির কথা বলা হয়েছিল। বাকিগুলো জানানো হয়নি।’
বাঁধন/সিইচা/সাএ
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta