অপহরণ, ডাকাতি ও হত্যা: রোহিঙ্গা যুবকের নেতৃত্বে গঠিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী

টেকনাফে ছয়টি হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে জড়িত মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, ডাকাতি এবং হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।

শুক্রবার রাতে টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩৪ বছর বয়সী ইসমাইল টেকনাফের নয়াপাড়া মুচনী রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং তার বাবার নাম আবু সুলতান।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র জসিম উদ্দিন জানান, ইসমাইল দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সে একটি সংগঠিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছিল। এই গোষ্ঠী শুধু রোহিঙ্গাদের নয়, স্থানীয় অপরাধীদের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ইসমাইল ও তার দল টেকনাফসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে লোকজনকে অপহরণ করে সীমান্তবর্তী দুর্গম স্থানে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করত। মুক্তিপণ না দিলে তাদের হত্যার ঘটনাও ঘটিয়েছে তারা। এছাড়াও ডাকাতি ও অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য, ইসমাইলের গ্রেপ্তারের পর গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান ত্বরান্বিত করা হয়েছে। স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বা রাজনৈতিক যোগসূত্র তার সঙ্গে ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।