বিধবা মমেনার ৪০ বছরেও স্থায়ী আবাসের ব্যবস্থা হয়নি
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের মমেনা বেগম (৪০) চল্লিশ বছর ধরে গৃহহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। তাঁর স্বামী ফজল মিয়া দিনমজুর ছিলেন এবং পরিবারের বোঝা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কাটাতো। সাত বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মমেনা বেগম দিনমজুরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
শারীরিক সমস্যার কারণে নিয়মিত কাজ করতে না পারায় তার জীবনযাপন খুবই কষ্টকর। স্থানীয়রা জানান, মমেনা বেগম মাঝে মাঝে নদী থেকে মাছ ধরে তা বিক্রি করে জীবিকা চালান।
মমেনা বেগম বলেন, অন্যের বাড়িতে থাকার কারণে তিনি অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। সামান্য কারণেই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ একটি গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে তাকে বাড়ির মালিক তাড়িয়ে দেন। বর্তমানে তিনি গুচ্ছ গ্রামের বিধবা আঙ্গুরি বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, কিন্তু সেখানেও নিরাপদ নন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি বা গুচ্ছগ্রামের কোনো ঘর পাওয়ার জন্য তিনি অনেকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়েছেন, কিন্তু কোনো সহায়তা পাননি। স্থানীয়দের তথ্য মতে, ২০১২ সালে গুচ্ছগ্রামে নির্মিত ৩০টি ঘরের অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে, কেউ কেউ ঘর পেয়ে তা বিক্রি বা ভাড়া দিয়েছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল জানান, মমেনা বেগমের জন্য ঘর বরাদ্দের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta