দক্ষিণ আফ্রিকায় নিহত এমদাদুলের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি, ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সন্ধান
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দুই বাংলাদেশির একজন এমদাদুল হকের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পাসপোর্টে তার গ্রামের ঠিকানা কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের মির্জাপুর হলেও, সেখানে তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
পাসপোর্ট অনুযায়ী, এমদাদুলের পিতার নাম শফিকুল আলম এবং মায়ের নাম তাসলিমা। তবে, মির্জাপুর গ্রামে এমন কোনো ব্যক্তি না থাকার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা।
গ্রামের এক তরুণ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজ করেন এবং পুরো গ্রাম তাঁর পরিচিত। এমদাদুল হক নামের কাউকে তিনি চেনেন না এবং সামাজিক মাধ্যমে খবর দেখে খোঁজ নিলেও সে নামে কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাননি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সাংবাদিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি ওয়ার্ড মেম্বারদের জানালেও কেউ এমদাদুল হককে চেনেন না বা তার সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
এদিকে, অনলাইনে পাসপোর্ট নম্বর যাচাই করে দেখা গেছে, এমদাদুল হকের জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার মিরপুরের শেওড়াপাড়ায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে কেপটাউনের বুস্টারের ডিডোরেন্স এলাকায় একটি দোকানে ডাকাতি ঘটে। প্রবাসী বাংলাদেশি মনির হোসেনের দোকানে কাজ করছিলেন শরীয়তপুরের বিল্লাল হোসেন ও এমদাদুল হক। ডাকাত দল হামলা চালিয়ে টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে এবং পালানোর সময় তাদের গুলি করে হত্যা করে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি এখনও প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত হয়নি। তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta