ভালুকায় যৌথ অভিযানে মাদক উদ্ধার, ১৫ মামলার আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় এক যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ভালুকা মডেল থানা পুলিশের যৌথ তৎপরতায় প্রায় এক হাজার নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশন, হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। এ অভিযানে ১৫টি মামলার আসামি সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রবিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে মেদুয়ারী ইউনিয়নের বাকসাতরা মোড় বাজারের কাছে একটি চায়ের দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আতিকুর রহমান (৩৫) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আতিকুর রহমান মেদুয়ারী গ্রামের মৃত সিরু মিয়ার ছেলে। উদ্ধারকৃত হেরোইনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের বিরুদ্ধে আগে আরও ৫টি মাদক মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিরুনিয়া ইউনিয়নের মাহমুদপুর ব্রিজের ঘাট এলাকার আনন্দ-সাব্বির অটো ওয়ার্কশপের সামনে থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ মনিরুজ্জামান (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। মনিরুজ্জামান মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ হাজার টাকা।

এছাড়া, উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকার তেপান্তর হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে জামালপুরগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় এক হাজার নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ফারুক মিয়া নামের ১৫টি মামলার এক আসামিকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পেথিডিন ইনজেকশনের আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা। আটক ফারুক মিয়ার বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাটলি গ্রামে। তিনি আব্দুল হাকিমের ছেলে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, ফারুকের বিরুদ্ধে পূর্বে ১৫টি এবং আতিকুরের বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।