পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধের জন্য আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার খরচ থেকে সারচার্জ তুলে নেওয়া বন্ধ করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।
আজ বুধবার সিসিএস-এর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ.কে.এম. আজাদ হোসাইন পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার খরচের ওপর ২০১৬ সাল থেকে এক শতাংশ সারচার্জ ধার্য রয়েছে, যা পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আদায় করা হয়। ইতিমধ্যে এ সারচার্জ থেকে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরও এই সারচার্জ তুলা হয়নি।
সিসিএস উল্লেখ করেছে, ২০১৫ সালে সরকার ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ প্রণয়ন করে, যেখানে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সারচার্জ আদায়ের প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু আইনের ৪নং ধারায় বলা হয়েছে, সারচার্জ নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য আরোপ করা হবে। প্রজ্ঞাপনে কোনো মেয়াদ না থাকায় বর্তমানে ৯ বছর ধরে সারচার্জ আদায় অব্যাহত থাকলেও তা বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি, যা আইনের পরিপন্থী।
পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এবং মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়া সারচার্জ ধার্য থাকায় ভোক্তাদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে সিসিএস দাবি করেছে। তাই তারা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নোটিশে অর্থ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, এনবিআর ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে মোবাইলে ব্যয়ের ওপর সারচার্জ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে সারচার্জ বন্ধ না হলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta