যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো মানুষের ট্রাম্প বিরোধী প্রতিবাদ

প্রধানত ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী বিতাড়ন, সরকারি চাকরিতে ছাঁটাই, গাজা এবং ইউক্রেন সম্পর্কিত নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিনীরা বিক্ষোভে অংশ নেয়। টেলিভিশনে দেখা যায়, হোয়াইট হাউসের সামনে নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছেন।

এ সময় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা অভিবাসীদের সমর্থনে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বিতাড়ন করার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাম্প প্রশাসন তহবিল কাটছাঁট বা বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের সমর্থনও প্রকাশ করেন।

হোয়াইট হাউসের কাছাকাছি লাফায়েট স্কয়ারে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ব্যবহার করে অভিবাসীদের বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীদের রক্ষা করার জন্য আমরা নেটওয়ার্ক এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’

কিছু বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে এবং গলায় ফিলিস্তিনি রুমাল কেফিয়েহ পরতে দেখা গেছে। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অনেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বা ‘ফিলিস্তিন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন। কিছু বিক্ষোভকারী ইউক্রেনের পতাকা বহন করছিলেন এবং তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রণয়ন করেছেন। নতুন সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব ইলন মাস্ককে দেওয়ার পর তার দল ২৩ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখের বেশি পদ শূন্য করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের অনেককে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। বর্তমান প্রশাসনের জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্য নীতিতেও বিরোধিতা রয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো ট্রাম্পের এসব নীতির তীব্র সমালোচনা করছে।

বিক্ষোভের সময় ওয়াশিংটন মনুমেন্টের পাশে নানা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ঘৃণা কোনো জাতিকে মহান করে না’, ‘সবার জন্য সমান অধিকার মানে আপনার অধিকার কমে যাওয়া নয়’।

এদিকে ‘৫০৫০১’ আগামী পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে। এই কর্মসূচির নাম ‘মে ডে স্ট্রং’ বা ‘মে দিবসের শক্তি’।

আরএস