সরকার ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে
দেশের খাদ্য মজুদ বাড়াতে সরকার ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করার প্রস্তাব উপস্থাপন করলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।
ভারতের মেসার্স পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট কোম্পানি থেকে এই চাল আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৩৯৪.৭৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের জন্য খরচ হবে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
আগে ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যার খরচ ছিল ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪ টাকা।
তার আগে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতের মেসার্স বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যার খরচ ছিল ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
এছাড়া ১৪ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যার মূল্য ছিল ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, এর মধ্যে ভারত থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
এ বছর চালের মোট চাহিদা ৩৯.৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্য ৯ লাখ মেট্রিক টন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta