জুলাই আন্দোলন নির্মূলের জন্য
জুলাই আন্দোলন দমনকল্পে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় এখন পর্যন্ত হাজারের বেশি মানুষের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের' সঙ্গে প্রসিকিউশন অফিসে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। ভিডিও ও ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ (সহস্রাধিক ভিডিও ক্লিপ) এবং তার পর্যালোচনা, ভেরিফিকেশন এবং জিওলোকেশন যাচাইয়ের কাজ চলছে।
তিনি জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে ঢাকা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোরসহ ১৫টি জেলার একাধিক জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গুম সম্পর্কিত তদন্ত কার্যক্রমের অধীনে ঢাকা শহরের ৩টি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলায় ৩টি গুমের স্থান (আয়নাঘর, হাসপাতাল, এলআইসি ইত্যাদি কোডনেমে পরিচিত) পরিদর্শন এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
তদন্তের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে এখন পর্যন্ত ৪টি গণশুনানি গ্রহণ করা হয়েছে (নর্থসাউথ, নর্দান, বিইউবিটি, যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা), এতে আট শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। হাইকোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে ছাত্র জনতা উত্তাল হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমন করতে গত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। টানা ৩৬ দিনের ছাত্র আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এতে প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান। এজন্য ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন পুনর্গঠন করা হয়। ভবন সংস্কার ও বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সূত্র : বাসস
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta