শারজাহ: আল নাহদা ভবনে আগুন লেগে ৫ জনের মৃত্যু, ৬ জন আহত
শারজাহর আল নাহদা এলাকার একটি উচ্চ ভবনে রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি, যারা আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে ভবন থেকে পড়ে মারা যান। এছাড়া, ৪০ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি পুরুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, যেটি ঘটনার সময় তার শরীরে চাপ সৃষ্টি করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই অগ্নিকাণ্ডটি ভবনের ৪৪ তলায় শুরু হয় এবং এতে আরও ৬ জন গুরুতর আহত হন, এছাড়া একজন ব্যক্তি ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। আহতরা বর্তমানে আল কাসিমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
জরুরি সেবা দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসিন্দাদের উদ্ধার করে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও চারজন ভবন থেকে পড়ে মারা যান, তাদের দেহগুলি পুরোটাই পুড়ে গেছে। পাকিস্তানি নাগরিকটির শরীরে পোড়া লাগেনি, তবে মানসিক শকের কারণে তার মৃত্যু হয়।
শারজাহ সিভিল ডিফেন্স জানায়, সকাল ১১.৩০-এ আগুনের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে, উদ্ধারকর্মীরা বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে আনেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত ৭টা নাগাদ, শীতলীকরণ কার্যক্রম শেষ হলে, ঘটনাস্থলটি পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়, এবং আগুনের কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ধোঁয়া সরে যাওয়ার পর, ঘটনাস্থলটি সুরক্ষিত রাখতে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে ওই এলাকা থেকে দূরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া পরিবারগুলো তখন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল, তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতির জন্য। পরে সন্ধ্যায়, কিছু বাসিন্দাকে বাড়ি ফিরে যেতে দেওয়া হয়, তবে ৩০ তলার ওপরের তলাগুলোর সুরক্ষা পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না, তাদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আরও তদন্ত শেষে, সাইটটি সম্পূর্ণ নিরাপদ হলে পরবর্তী আপডেট দেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আগুনটি ভবনের শীর্ষ দুই তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সারা সেন্টারের বিপরীতে অবস্থিত এই ভবনটি শারজাহর অন্যতম উঁচু ভবন। একজন ক্যাফে মালিক জানান, "কর্মকর্তারা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন এবং বাসিন্দারা ক্যাফে বা রেস্তোরাঁতে অপেক্ষা করছিলেন। আশা করি তারা শীঘ্রই বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন।"
এছাড়া, এক দোকানদার জানালেন, ভবনটিতে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে।
এখনো ভবনের আশেপাশের সড়কগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে জরুরি উদ্ধারকর্মীরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সূত্র: খালিজ টাইমস
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta