যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভের তীব্রতা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে কর্মী ছাঁটাই, নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতিবাদে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এর ফলে স্লোগান আর বিক্ষোভে আমেরিকা উত্তাল হয়ে উঠেছে।
শনিবার স্থানীয় সময় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ-সমাবেশে স্লোগান ছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না’ ‘ডেমোক্র্যাসি নট ডিক্টেটরশিপ’ ‘আমাদের দেশ কোন দিকে যাচ্ছে’ ‘ডিওজিইকে চাকরিচ্যুত করুন’ ‘মাস্ককে মঙ্গলগ্রহে পাঠিয়ে দিন’ ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’ ‘রাজতন্ত্র মানি না- মানব না’ ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’ ইত্যাদি। সেদিন ৫০টি স্টেটে প্রায় ১ হাজার ২০০ বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি ছিল এক দিনে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের গণবিরোধী পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদসূচক প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস, টেক্সাস, মিশিগান, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, শিকাগো, বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, কানেকটিকাট, নিউজার্সি, আরিজোনা, মিনেসোটা, আলাবামা, ওরেগন, ক্যানসাস, ক্যান্টাকি, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, দেলওয়ারে, ওহাইয়ো, আইওয়া, সিয়াটল, নর্থ ক্যারলিনা, সাউথ ক্যারলিনা, উইসকনসিন, নিউ হ্যামশায়ার, রোড আইল্যান্ড, সানফ্রান্সিসকোসহ একাধিক স্থানে লাখ লাখ আমেরিকান ‘হ্যান্ডস অফ’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলোন মাস্কের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রদান করেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা আতঙ্কিত, ক্ষুব্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, তা ভাবতে গিয়ে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি।’ উল্লেখযোগ্য যে, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্র নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করেছেন। বিরোধীদের জন্য এটি তাদের অসন্তোষ প্রকাশের সুযোগ হয়ে উঠেছে এবং তাদের প্রতিবাদ হিসেবে ‘হ্যান্ডস অফ’ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta