১২ নম্বরে ব্যাটিং করার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না, কারণ ক্রিকেট হলো ১১ জনের খেলা। তবে কনকাশন বদলির নিয়ম চালু হওয়ার পর ১২ জন ক্রিকেটার নিয়ে ব্যাটিং করা বিরল হলেও অসম্ভব নয়। আজ হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে পাকিস্তানের সুফিয়ান মুকিম এমন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। এবং তিনি সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলেন।

কিউইদের দেওয়া ২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৭২ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামেন হারিস রউফ। কিন্তু ২৫তম ওভারে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তার কনকাশন বদলি হিসেবে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন নাসিম শাহ। ৪৪ বলে ৫১ রান করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি।

১১ নম্বরে ব্যাট করে এটি ছিল ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ রান করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির।

নাসিম শাহের মতো না পারলেও মুকিম ১২ নম্বরে নেমে ১০ বলে ১টি চার এবং ১টি ছক্কায় ১৩ রান করেন। তিন ফরম্যাটে এই পজিশনে তার চেয়ে বেশি রান করা আর কোনো ক্রিকেটারই পারেননি।

১২ নম্বরে ব্যাটিং করার ঘটনা এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ বার ঘটেছে। প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শ্যানন গ্যাব্রিয়েল এর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে কনকাশন বদলি নিয়ম চালু হয়। এরপর টেস্টে জেইডেন সিলস, লুঙ্গি এনগিদি, বাংলাদেশের এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহী একবার করে ১২ নম্বরে ব্যাটিং করেন, তবে তারা কেউ রান করতে পারেননি।

২০২৩ সালে মিরপুর টেস্টে আফগানিস্তানের জহির খান ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন, যেটি ছিল মুকিমের আগে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

ওয়ানডেতে প্রথমবার ১২ নম্বরে ব্যাট করেন আয়ারল্যান্ডের জশ লিটল, কিন্তু তিনি শূন্য রানে আউট হন। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকি (১) এবং উগান্ডার হেনরি সেনিয়োন্দোর (০) ১২ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন।

মুকিম তার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বল হাতে ৩৩ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। তিনি মূলত বাঁহাতি লেগ স্পিনার হিসেবে পরিচিত।